মোশাররফ হোসাইন: বিদেশি বিনিয়োগকারিদের সামনে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সম্ভাবনা তুলে ধরার লক্ষ্যে শনিবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে শুরু হয়েছে তিন দিনব্যাপী দেশের সবচেয়ে বড় ব্যবসায়িক সম্মেলন ‘বাংলাদেশ বিজনেস সামিট ২০২৩’ এবং ‘বেস্ট অব বাংলাদেশ এক্সপো’।

ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই’র সূবর্ণ জয়ন্তী উপলক্ষে আয়োজিত এই সামিটের উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বাংলাদেশ বিজনেস সামিটে এফবিসিসিআইয়ের অংশীদার হিসেবে কাজ করছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা)।

যুক্তরাজ্য, সৌদি আরব, চীন, ভুটান, সংযুক্ত আরব আমিরাতসহ সাতটি দেশের মন্ত্রী, ১২টি বহুজাতিক কোম্পানির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এবং ১৭ দেশের ২০০টিরও বেশি বিদেশি বিনিয়োগকারী প্রতিনিধি ও ব্যবসায়ী নেতারা এই সম্মেলনে অংশ নিচ্ছেন।

বিভিন্ন কৌশলগত বিষয়ে তিনটি প্লেনারি সেশন, ১৪টি প্যারালাল সেশন, বিজনেস টু বিজনেস মিট, নেটওয়ার্কিং সেশন, একটি ওপেন হাউস রিসেপশন এবং আন্তর্জাতিক প্রতিনিধিদের জন্য গাইডেড ট্যুর রয়েছে এ সামিটে।

প্রধানমন্ত্রী ছাড়াও উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন, বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি, প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ. রহমান, সৌদি আরবের বাণিজ্যমন্ত্রী ড. মজিদ বিন আবদুল্লাহ আল খাসাবি, চীনের ভাইস মিনিস্টার ফর কমার্স কিয়ান কেমিং, যুক্তরাজ্যের বৈদেশিক, কমনওয়েলথ ও উন্নয়ন প্রতিমন্ত্রী অ্যান-মারি ট্রেভেলইয়ান প্রমুখ।

এফবিসিসিআই সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন বলেন, বাংলাদেশ এখন বিশ্বের কাছে উন্নয়নের রোল মডেল। ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশর অর্থনীতির আকার ট্রিলিয়ন ডলারে পৌঁছাবে।

?বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার উপ-মহাপরিচালক সাংচেন ঝাং মনে করেন, আরও বৃহৎ আকারের অর্থনীতি হওয়ার জন্য বাংলাদেশের সামনে অনেক সুযোগ রয়েছে। এদেশের উন্নয়ন ত্বরান্বিত করতে সবচেয়ে বেশি দরকার বেসরকারি বিনিয়োগ। বাংলাদেশের ডায়নামিক তরুণ উদ্যোক্তারা নতুন নতুন বিজনেস আইডিয়া নিয়ে এগিয়ে চলেছে। এদেশের ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল।

বাংলাদেশের বিদ্যুৎ, জ্বালানি, লজিস্টিক ও কৃষি খাতে সৌদি আরব বিনিয়োগ করবে বলে জানিয়েছেন দেশটির বাণিজ্যমন্ত্রী মজিদ বিন আব্দুল্লাহ আল কাসাবি।

অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রার ওপর ‘নতুন বাংলাদেশ কী হতে যাচ্ছে’ শীর্ষক একটি ভিডিও প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। সম্পাদনা: ইমরুল শাহেদ